কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মিজানুর রহমান নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মিজানুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মিজানুর সোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের মনছুর মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা।

এলাকাবাসী ও শিশুটির চাচা (মামলার সাক্ষী) জানান, মিজানুর সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় মুদি ব্যবসা করে। এক মাস আগে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী তার দোকানের কাছে গেলে সে কৌশলে শিশুটিকে ফুঁসলে দোকানের ভেতর ডেকে নিয়ে গলায় চাকু ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দেয় এবং পরে তাকে একই কায়দায় কয়েকবার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে রেজাউল তার মোবাইল ফোনের লক খুলতে না পেরে প্রতিবেশী এক যুবককে খুলে দেওয়ার জন্য দেয়। ওই যুবক মেকানিকের কাছে গিয়ে লক খোলার পর ওই ফোনে মিজানুরের ধর্ষণের একাধিক ভিডিও দেখতে পান। পরে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শিশুটির বাবাকে তিনি বিষয়টি জানান। বাবা এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে বলে জানায় এলাকাবাসী। পরে শিশুটির বাবা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মিজানুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।’

মোবাইলে ভিডিও ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘ আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’ সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পৃথক আইনেও মামলা দায়ের হতে পারে বলে জানান তিনি।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন