কুড়িগ্রামের উলিপুরে নুরানী মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে আটক করেন। বর্তমানে গুরুত্বর অসুস্থ্য ওই শিক্ষার্থী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ারখাতা সোত্তারভাটা গ্রামের শিশু শিক্ষার্থী (১২) মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় প্রতিবেশি তৈয়ব আলীর পুত্র হাফিজুর রহমান সোহেল (১৯) তাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ওই শিক্ষার্থী সোহেলের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বে টিউবওয়েলে হাত পরিস্কার করার জন্য যায়। এ সময় সোহেল ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে জোর করে তার শয়ন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এতে ওই শিক্ষার্থীর শরীরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে সোহেল তাকে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর ওই ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে মাকে বিষয়টি জানানোর সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করান। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেলের মা সিদ্দিকা বেগম, চাচী সেলিনা বেগম সেলী (২৫) ও চাচাতো ভাই সোহেল রানা বাবু (২৭) কে আটক করেন।