বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। ৮ জানুয়ারি বুধবার ভোররাতে তাকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

 

দুপুরে কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিং এ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে হাজির করা হয়।র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তি একজন ‘মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী এবং সিরিয়াল রেপিস্ট’।

মিঃ সারোয়ার জানান, ধর্ষণকারী হিসেবে সন্দেহভাজন ঐ ব্যক্তিকে আটকের পর ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোনে তার ছবি পাঠিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ঐ ব্যক্তিকে ধর্ষণকারী হিসেবে ‘আইডেন্টিফাই’ করেছেন নির্যাতিত ছাত্রীটি।।

কিভাবে গ্রেপ্তার করা হলো?

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের মিঃ সারোয়ার জানান, মূলত ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর ফেলে আসা মোবাইলের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

“শুরুতে কুর্মিটোলা এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ভিকটিমের মোবাইলটি পাই আমরা। জানা যায় সে একজন মহিলার কাছ থেকে সেটি কিনেছে। এরপর এ সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে আমরা জানতে পারি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঐ মহিলার কাছে সেটি ঘটনার রাতেই বিক্রি করেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনার সঙ্গে আমাদের প্রাপ্ত ধারণা প্রায় মিলে গেলে এরপর আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই, আমরা যাকে খুঁজছি—এই ব্যক্তি সেই।”

কুর্মিটোলার কাছে শেওড়া রেলক্রসিং থেকে ঐ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। মিঃ সারোয়ার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছে।

তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীর ব্যাগ ও পাওয়ার-ব্যাংক উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানিয়েছেন, নিজেকে একজন হকার হিসেবে পরিচয় দিলেও ঐ ব্যক্তি ছিনতাই এর সঙ্গে যুক্ত এবং সে মাদকাসক্ত। এছাড়া সে প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন নারীকে সে আটকে রেখে ধর্ষণ করতো বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন মিঃ সারোয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি রোববার রাতে কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন।

এ ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ আজও অব্যহত আছে।

এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি এবং শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিবিসি বাংলা

মন্তব্য করুন