বাগেরহাটের ফকিরহাটে পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত এলাকায় একটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ির জায়গায় সন্ত্রাসী কায়দায় জাল-জালিয়াতি চক্রের সহায়তায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১১ জানুয়ারি শনিবার সকালে এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।
ভুক্তভোগী জগদীশ দে জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘ ৪ পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে আনোয়ার শেখ নামে একটি চক্র শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বসতবাড়ি পানের বরজ ভাঙচুর করে। এ সময় গাছপালা কেটে ফেলে। আমার বসতঘরটি ঘিরে নিয়েছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথও রাখেনি। বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মহাদেব কুমার দে।
মহাদেব দে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ জমি নিয়ে মামলা চলমান। দেশের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল নিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বারিক শেখের পুত্র আনোয়া শেখ ও কথিত আওয়ামী লীগ নেতা মোকছেদের সন্ত্রাসী বাহিনি। আমাদের দেশে ছেড়ে পালিয়ে পাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় বিচার পাইনি।
এ ব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খালেক খানের সাথে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ত্রাসী এ চক্রটি জাল জালিয়াতি চক্রটি ইতিপূর্বে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খান শামিমজামান পলাশের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। শনিবার সকালে শতাধিক বহিরাগত লোকজন নিয়ে জগদিশের ৪ পুরুষের বসবাসকারী ভিটাটি দখল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সংখ্যালঘু এ পরিবারটির পানের বরজ বাস বাগান ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন গাছপালা কেটে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। জমির দখল নিতে বরজের মধ্যেই গড়ে তুলেছেন ঘর।
আনোয়ার শেখ বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক। আমার জমি তে আমি দখলে এসেছি।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খারুল আনাম জানান, ভূমি সংক্রান্ত একটি বিরোধের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।