কুমিল্লায় মাদ্রাসাতুল আবরার নামে একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে রায়হান হোসেন নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার ওই মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বেডিংয়ের স্তূপের নিচ থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রায়হান পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া গ্রামের অটোরিক্সাচালক মিজানুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

শিশু রায়হানের পিতা মিজানুর রহমান জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রায়হান হোসেন (১০) মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসার পর খাবার খেয়ে দুপুর ১টার দিকে সে মাদ্রাসায় চলে যায়। সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়, আমার ছেলে মাদ্রাসায় যায়নি। এতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদ্রাসা থেকে এক শিক্ষক আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার ফোনে কল করে আমাদের মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। মাদ্রাসায় যাওয়ার পর ছাত্রদের বেডিংয়ের স্তূপের নিচে রায়হানের মরদেহ দেখান তারা।

জনকণ্ঠ

মন্তব্য করুন