সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম হাফেজ আব্দুল মজিদ (৪২)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে ও কালীগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষক।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক আব্দুল মজিদের সংগে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মহিলা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। এরই জের ধরে ওই শিক্ষক গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালীগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় নিয়ে আসেন। রাতে শয়ন কক্ষে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক। পরদিন সকালে তাকে মাদ্রাসা থেকে মোটরসাইকেলে নিয়ে কালীগঞ্জের গড়ের হাট নামক স্থানে নামিয়ে দেন। এ সময় তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই কালীগঞ্জ থানা পুলিশ পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত শিক্ষককে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।