চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসায় মো. ওসমান নামের ১২ বছরের এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
১৪ জুন সোমবার সকাল ৯টায় পৌর এলাকার ফটিকা কামালপাড়া বায়তুল কোরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই বিকেলে অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিনকে(৫৩) আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই শিশুশিক্ষার্থীর বাবা আবুল কাশেম মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আটক মাওলানা কামাল হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুর ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত তোফায়েল আহমদের ছেলে।
সূত্র জানায়, হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কাশেমের ছেলে মো. ওসমান বায়তুল কোরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে তিন বছর ধরে লেখাপড়া করে। সোমবার সকালে মাদ্রাসায় ওসমানের সঙ্গে তার এক সহপাঠীর ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা কামাল জানতেই ক্ষীপ্ত হয়ে ওসমানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। পিটুনি সহ্য করতে না পেরে সে কান্না করতে করতে ঘরে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। বিকেলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রুহুল আমিন ও থানা পুলিশ গিয়ে শিশুটির খবর নেয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ইউএনও বিকেলে মাদ্রাসা থেকে হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
শিশুটির বাবা আবুল কাশেম সমকালকে বলেন, ‘হুজুর অত্যন্ত নির্মমভাবে আমার ছেলেকে পিটিয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
ইউএনও রুহুল আমিন সমকালকে বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুটিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালককে পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওই শিশুশিক্ষার্থীর বাবা-মাকে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে বলেছি।’
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে পুলিশের সহযোগিতায় ইউএনও আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। শিশুটির বাবা তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’