য় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে মারা চেষ্টা হয়েছে।
ওই গৃহবধূ তার দেবরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তার দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে।
দগ্ধ ওই নারীকে ৮ আগস্ট রোববার ভোররাতে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলার উত্তরবাখর নগর ইউনিয়নের লোচনপুর এলাকায় তাকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয় বলে জানান তিনি।
রায়পুরা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনা শোনার পর তারা ওই নারীর দেবর আলী হোসেন এবং ননদের ছেলে শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে মরজাল এলাকার প্রবাসী ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়। তাদের ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
৩০ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রায় সময়ই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর অত্যাচার চালাত।
বছরখানেক আগে তার মেয়েকে আলী হোসেন দা দিয়ে কোপালে তা নিয়ে থানায় মামলা হয়। সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হলে ওই নারী তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।
ওই নারী বলেন, শনিবার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কথা বলে তাকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টিকা কেন্দ্রে যেতে দেবর, ননদের ছেলে, ননদ তাসলিমা বেগম ও জা রহিমা বেগমের সঙ্গে অটোরিকশায় ওঠেন তিনি।
তিনি বলেন, অটোরিকশায় ওঠার পর তার চোখমুখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর তার দেবর অচেনা নির্জন একটি স্থানে নিয়ে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রায়পুরা-বারৈচা সড়কের পাশে লোচনপুর এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তার গায়ে তরল জাতীয় কিছু ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই নারীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ভোররাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।