ঠাকুরগাঁও সদরে ধর্ষণের মামলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ আগস্ট রোববার সকালে উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এসসি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার মনোরঞ্জন রায় (৫৫) গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের প্রয়াত দিগেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে; তিনি গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
শনিবার এক কিশোরী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়, তার স্ত্রী সোমারী রায় (৪৮), ছেলে চন্দন রায় (২৬), মেয়ে মালা রাণী (৩০), মেয়ের জামাই সৌখিন রায় (৩৫) ও মেয়ে কৃত্তিকা রাণীকে (২২) আসামি করা হয়।
মামলার বরাতে ওসি তানভিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে চন্দন রায়ের সাথে মামলার বাদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাদী ও চন্দন রায় সম্পর্কে খালাত ভাই-বোন।
বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় চন্দন ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেন এবং এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ওই তরুণী চন্দনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেন। পরে ৮ জুন বিকালে কৌশলে চন্দন ওই মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
“এরপর ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মারধর করে এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য জোরপূর্বক ওষুধ খাওয়ায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”
এছাড়া মনোরঞ্জন ওই মেয়ের গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক একটি ৩শ টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
ওসি তানভিরুল আরও বলেন, খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় ওই মেয়েকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রিপোর্টে দেখা যায় মেয়েটির বাচ্চা নষ্ট হয়নি।
ওসি জানান, আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার মনোরঞ্জন রায়কে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।