টাঙ্গাইলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে রিশাদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত দুইটার দিকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা হতে রিশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সদর উপজেলায় ট্রাক্টর চালাতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর দিকে নজরে পড়ে রিশাদ মিয়ার। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রিশাদ মিয়া একদল সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা টাঙ্গাইল সদর থানা ও র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। পরে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা, অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে যে, ভিকটিম ও অপহরণকারীরা সখিপুর উপজেলায় অবস্থান করছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে বার বার স্থান পরিবর্তন করে। বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি ঘরের ভিতরে ওই ছাত্রীর হাত, পা, মুখ বাধা ও অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।”
তিনি জানা, ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে মুখে কসটেপ লাগিয়ে জিম্মি করে সিএনজি যোগে অপহরণ করে ওই ছাত্রীকে সখিপুরের দূর্গম নির্জন পাহাড়ী এলাকায় তার এক পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভিকটিমকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ওই ছাত্রী যাতে না পালাতে পারে সেজন্য হাত ও পা বেধে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে অভিযুক্ত। অবস্থান পরিবর্তনের সময় ভিকটিমের চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হতো যাতে ভিকটিম অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে।
রিশাদ মিয়া এর আগে দুটি বিয়ে করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদি হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালাচ্ছে র্যাব।