নির্বাচনী ছুটি কাটিয়ে হয়তো আজকেই অফিস করতে বের হয়েছিলেন দুই গার্মেন্টস কর্মী পলি ও মিম। কিন্তু বেঁচে আর ঘরে ফিরতে পারলেন কোথায়? বছরের প্রথম দিনেই ঘাতক বাসের চাপায় প্রাণ হারালেন তারা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মালিবাগের চৌধুরীপাড়ার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন পলি এবং মিম। এ সময় সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁদের দুজনকে চাপা দেয়। পলির বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এবং মিমের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। তাঁরা ঢাকার মগবাজারের পূর্ব নয়াটোলায় ভাড়া থাকতেন।
ঘটনাস্থালেই মিম মারা যান। অন্যজন পলিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট সুব্রত কুমার দে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমি নামে তাদের এক সহকর্মী জানান, পলি ও মীম দুপুরের খাবার খেতে কারখানা থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত বাসের নিচে চাপা পড়েন তারা।
ঘটনার প্রতিবাদে বেলা তিনটার দিকে মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে বাসচালকের শাস্তির দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সুপ্রভাত বাস ও বাসের চালককে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ আটক করেছে। হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে হয়তো এই ঘটনাটিও বিস্মৃত হয়ে যাবে। তারপর আইনের তোয়াক্কা না করে চলতে থাকা ঢাকায় চলাচলকারী বাসের চাপায় ঝরে যাবে অন্য কোন প্রাণ।