কুড়িগ্রামের উলিপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এতে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা করলে পুলিশ রুবেল ইসলাম বকুল (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী একটি মুদির দোকানে সাবান আনতে যায়। এ সময় পথিমধ্যে প্রতিবেশী মোজাম্মেল হকের বাড়ির কাছে পৌঁছলে তার ছেলে রুবেল ইসলাম বকুল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হাতে গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে টিওবওয়েল থেকে পানি আনতে বলে ফাঁকা ঘরে বসে থাকে।
সরল বিশ্বাসে স্কুলছাত্রী পানির গ্লাস তাকে দেয়ার সময় বকুল তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ছাত্রী রাজি না হলে বকুল তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নরকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে রুবেল ইসলাম বকুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি স্কুলছাত্রী গোপন রাখে। বর্তমানে ওই ছাত্রীর চলাফেরা ও শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হলে তার মা ও বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।
পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেলে তিনি শারীরিক পরীক্ষা করে চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা বলে জানান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা শনিবার রাতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে রুবেল ইসলাম বকুলকে আসামি করে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করেন।
উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে রোববার আদালতে প্রেরণ করে। ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।