জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ‘কাবা শরীফ অবমাননা’র গুজব ছড়িয়ে সুমন দাস নামে এক হিন্দু যুবককে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে ভিক্টিম যুবককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

১০ মে রোববার সদর ইউনিয়নের জামিরাকান্দা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকালই সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

১১ মে সোমবার গ্রেপ্তার ওই যুবককে জামালপুর আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এর আগে মুসলমানদের কাবা ঘরের ছবিতে পা উঁচিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার গুজব ছড়ানো হয় সুমন দাসের বিরুদ্ধে।  এই ছবি সুপরিকল্পতভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে স্থানীয় ধর্মান্ধ মুসলমান এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের উস্কানো হয়।

পরে এ বিষয়ে ১০ মে রোববার স্থানীয়ভাবে সুমন দাসের ফাঁসীর দাবিতে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ধর্মান্ধ মৌলবাদী চক্র সুমন দাসকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় এবং তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফুটানি বাজার থেকে সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাকিবুল হাসান রাসেল, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রশাসনের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা সবাই ঘরে ফিরে যায়।

দৈনিক আমাদের সময়

মন্তব্য করুন