জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শাইলগুন সৈয়দ জালালীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সুজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মাদ্রাসা ভবনে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা তার বিচার দাবী করলেও একটি পক্ষ আপোস-মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, শাইলগুন সৈয়দ জালালীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সুজাউল ইসলাম শাইলগুন গ্রামের ১২/১৩ বছরের এক ছাত্রকে গত রমজান মাস থেকে বিভিন্ন কৌশলে বলাৎকার করে আসছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা ভবনে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপনে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানাই।
শিক্ষার্থীর মা ও চাচি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ আপোস-মিমাংসার নামে থানায় মামলা দায়ের করতে দিচ্ছেন না।
এ ঘটনায় শাইলগুন বাসিন্দা ছবেদা বেগম, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই জানান, আমাদের সন্তানরা আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিরাপদ নয়। আমরা এখন যাব কোথায়? শিক্ষার্থী জিহাদ মণ্ডল, ওয়ারেছ কুরুনীসহ একাধিক ছাত্র বলেন, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও ভয় পাচ্ছি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বলাৎকারের শিকার ছাত্রের বাড়িতে বার বার গিয়েও তাদের মামলা করাতে পারিনি। ঘটনাটি তৃতীয় পক্ষ আপোস মিমাংসার চেষ্টা করছেন বলে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও অন্তর্ভুক্ত করেছি।