টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) গণধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাগুজিআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীকে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে মোহনপুর যমুনা নদীর ঘাটে এসে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।

 

চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভুক্তভোগী।

কাগুজিআটা গ্রামের বখাটে শফিকুল ইসলাম, এনামুল, জালাল, আব্দুল খালেক, আলতাব হোসেন সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর তাকে গণধর্ষণ করে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো শফিকুল ইসলাম ও এনামুল। সোমবার সন্ধ্যায় মোহনপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শফিকুল, এনামুল, জালাল, খালেক ও আলতাব মুখ বেঁধে নৌকায় তুলে তাকে যমুনা নদী তীরবর্তী শফিকুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়। ভোর হলে নৌকায় করে তাকে মোহনপুর নদীর ঘাটে এসে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ভুক্তভোগী।

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি। ভিকটিম আমাদের কাছে এসেছেন।”

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সন্ধ্যায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন