নরসিংদীতে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিজের ১২ বছর বয়সী মেয়েকে কয়েক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মমিন মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মমিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরি নারায়ণপুর এলাকার মৃত মিরাজুল ইসলামের ছেলে।

 

রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে তাকে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার আনন্দী মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মমিন মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তার স্ত্রী ও ভুক্তভোগী মাধবদীতে একটি পাওয়ার লুম ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ২ মাস আগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিজের কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পিতা মমিন মিয়া। ধর্ষণের বিষয়টি ওই কিশোরী তার মাকে জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। এরপর থেকে মাঝে মাঝেই নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করতে থাকে সে।

পরবর্তীতে রবিবার সকালে মমিন আবার নিজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে দুপুরে তার স্ত্রী মাধবদী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মমিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন,  “আগেও মেয়েকে যখন এই নরপশু ধর্ষণ করেছে। তখন মেয়ে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছিল। তখন তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলে সে ক্ষমা চেয়ে, জীবনে আর এ ধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে। পরে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আর লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা প্রকাশ করিনি। কিন্তু আজ (রবিবার) সে আবার যখন একই কাজ করলো তখন তাকে আর ক্ষমা করা যায় না। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।”

মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, “ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।”

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন