বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছোট ডেরাহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য যুবলীগ নেতা সোহাগ হোসেনকে আটক করেছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ছোট ডেরাহার গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী আলম ও রেজার নেতৃত্বে তাদের অনুসারীরা স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়েন। আর গ্রামের বাকিরা নামাজ পড়েন এলাকার মসজিদে। মসজিদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা শাহাদত হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
নামাজ শেষে তার ওপর চড়াও হন আলম, রেজা ও তার অনুসারীরা। তারা ইমামকে গালিগালাজ ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
ইমাম শাহাদাত তাদেরকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারেই তিনি নামাজ পড়িয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্যরা ইমামকে হেনস্থার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা হানিফ (৩০) নামে একজনের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সোহাগ হোসেনকে।