বরিশালের উজিরপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যা মামলার আসামীর বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীদের তৎপরতায় ৫ দিনেও আইনী সহায়তা পেতে থানায় যেতে পারেনি ধর্ষিতার পরিবার। উপরন্তু ভয়ে সমঝোতায় রাজি হয়েছে ভিকটিমের অসহায় পরিবার।

 

ভিকটিম ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জল্লা গ্রামের লম্পট আয়নাল হক হাওলাদার ওরফে ভদ্দর (৬০) ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে (১২) গত শনিবার (৩০ মে) দুপুর ১টায় নিজ বসতঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটি পড়নের কাপড় ছেড়া অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে গিয়ে বিষয়টি বলে দেয়।

ঘটনার সময় লম্পট আয়নাল হকের স্ত্রী ঢাকায় ছিল। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে ছাত্রী ও তার বাবা-মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ ঘটনার পর থেকে লম্পট আয়নাল হক বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

ছাত্রীর বাবা বলেন ওই লম্পট একের পর এক ছাত্রীর ইজ্জত নষ্ট করেছে। তবে আমরা অসহায় বিষয়টি এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়লে ভবিষ্যতে আমার মেয়েকে আর বিবাহ দিতে পারবোনা। তাই লোকলজ্জায় থানায় মামলা করার সাহস পাচ্ছিনা।

ছাত্রীর মা জানান আয়নাল হক বিত্ত ও প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমরা এলাকায় টিকে থাকতে পারবো না। তাই আমরা উভয় পক্ষ এলাকায় শালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা হয়ে যাবার চেষ্টায় আছি। তবে স্থানীয়দের দাবী প্রভাবশালী ধর্ষকের পরিবারের চাপের মুখে ধর্ষিতার অসহায় পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা।

এদিকে জানা গেছে আয়নাল হক আলোচিত জল্লা ইউপির সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যা মামলার আসামী। এছাড়া তিনি আরও এক শিশু ধর্ষনের চেষ্টা ও ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন যাবৎ হাজতবাস করেছিল। দু’টি মামলা চলমান রয়েছে। ওই হত্যা মামলায় তার মেয়ে জামাতা রাব্বিও অন্যতম আসামী বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান জানান তিনি বিষয়টি অবগত নন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন