অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকার নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ছয়জনকে আসামি করে ২ নভেম্বর সোমবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হল- কালকিনি উপজেলার চড়াইরকান্দি গ্রামের অনিল কীর্তনিয়ার ছেলে সমীর কীর্তনিয়া (২৮), একই উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের দিপক মণ্ডল (৩২), গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকার বাদল পালের ছেলে বিনয় পাল (২২)। পুলিশ অভিযান চালিয়ে টরকী বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় বখাটে সমীর কীর্তনিয়া ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার (ছাত্রীর) বাবার কর্মস্থল টরকী বন্দরে উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে সমীর কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেলে বখাটে ছয় যুবক ওই ছাত্রীর গতিরোধ করে। এ সময় ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, বিভিন্ন স্থানে অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে তিনদিন আটকে রেখে কয়েকবার ধর্ষণ করে সমীর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে এসআই কামাল হোসেন জানান।