মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে (ঢাকা) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দপ্তরকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

বাদী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূকে বরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ জিম্মি করে ধর্ষণ করে। গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন চেয়ারম্যানের ভাগনে আশিকুর রহমান ওরফে রাশেদুল ইসলাম। আশিক চেয়ারম্যানের ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে।

মামলার বাদী ওই গৃহবধূ বলেন, আশিকুর আমাকে চেয়ারম্যান ও আমার নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিছুদিন আগে কক্সবাজার নিয়ে একটি হোটেলে আটকে রেখে তিনদিন ধর্ষণ করে। এরপরও সে হুমকির ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও অনেকবার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আশিকুর কক্সবাজারে ধর্ষণের সময় গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে। কক্সবাজার থেকে ফেরার পর আশিকুর বরাইদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ, স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল সালাম সফিক ও রিপনের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য ছড়িয়ে দেয়। এদের মোবাইল ফোনে ওই দৃশ্য দেখিয়ে এই চক্র আরও ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গৃহবধূর অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরও সাংবাদিক আব্দুল সালাম সফিক গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেন সাংবাদিক শফিক।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পিবিআইয়ের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন