মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে এক যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনককে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। ২৩ এপ্রিল শুক্রবার ভোররাতে মো. সামছুদ্দিনকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত সামছুদ্দিন (৪৪) উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভাস্থ ২নং ওয়ার্ডের উত্তর সোনাপাহাড় এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার যুবতী জানান, গত বছর তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সামছুদ্দিনের সাথে তার পরিচয় হয়। সামছুদ্দিন নিজেকে সালিশিয়ান পরিচয় দিয়ে জমির সমস্যা নিষ্পত্তি করে দেয়ার নাম করে মোবাইল ফোনে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে স্ত্রী ও ২ সন্তানের কথা গোপন করে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ২ এপ্রিল প্রথমে তার বসতঘরে ধর্ষণ করে। পরে চট্টগ্রামের আবাসিক হোটেলে ও সীতাকুণ্ড ইকোপার্কসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সামছুদ্দিনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওষুধ প্রয়োগে ভ্রুণের গর্ভপাত ঘটায়। একপর্যায়ে যুবতী বাধ্য হয়ে গত ২২ এপ্রিল বুধবার বিয়ের দাবিতে সামছুদ্দিনের বাড়িতে গেলে সে ও তার স্ত্রী তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী যুবতী শুক্রবার ধর্ষণ, ভ্রুণ গর্ভপাত, মারধর ও ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা (১৮/৭৯) দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় সামছুদ্দিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার যুবতী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটক আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।