মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বেড়াতে এসে সৎ বাবার সহয়তায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে সৎ বাবা ইমরান হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি, কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর। পরে বুধবার ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে অভিযুক্ত তিন যুবক গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার তিন ব্যক্তি হলো- উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কাশেম আলী (২৩), গাজীপুর গাংপাড় এলাকার আসকর আলীর ছেলে আরজান আলী ও গাজীপুরের মাস্টারের দোকান এলাকার ঝন্টু সুত্রধরের ছেলে রাজেশ সূত্রধর পাপ্পু (২১)। তবে ভুক্তভোগীর সৎ বাবা ইমরান হোসেন এখনও পলাতক রয়েছে।

মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন। প্রায় ১০ বছর আগে মারা যায় ওই কিশোরীর মা। পরে ওই কিশোরীকে রেখে কুলাউড়া চলে আসে ইমরান। এদিকে এক সপ্তাহ আগে সৎ বোনের (ইমরানের নিজের মেয়ে) সন্তানকে দেখতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে কুলাউড়ায় ইমরানের বাড়িতে আসে ওই কিশোরী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমরান ওই কিশোরীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে পৌরশহরের স্টেশন রোডস্থ এলাকায় নিয়ে আসে এবং ৩ হাজার ১০০ টাকার জন্য ওই তাকে কাশেম আলীর হাতে তুলে দেয়। সেখান থেকে কাশেম ও তার দুই সহযোগী- আরজান ও পাপ্পু মিলে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকার বাসিন্দা কাদির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাইয়। সেখানে ঘরের ভেতরে বন্দি করে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে তারা।

এক পর্যায়ে কিশোরীর আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে ওই তিন যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কুলাউড়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি দাশ বলেন, “ওই কিশোরী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেটি মামলা মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

এ ব্যাপারে এএসপি সাদেক কাওছার দস্তগীর বলেন, “ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন