আমড়া দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে খালি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম (৫৫)। গুরুতর অসুস্থ হলে শিশুটিকে গোপনে কবিরাজের চিকিৎসা ছাড়াও সালিসে ঘটনাটি ফয়সালার চেষ্টা চালানো হয়। অবস্থা গুরুতর হলে গতকাল সোমবার বিকেলে শিশুটিকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসক জানান শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির সাথে কথা বলে মামলা নেয়। আজ মঙ্গলবার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ও ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আঁচারগাও ইউনিয়নে ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি হোসেনপুর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

জানা যায়, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আমড়া কুড়াতে ওই শিক্ষকের বাড়ির পেছনে যায়। এ সময় শিক্ষকের বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে শিক্ষক নুরুল ইসলাম নিজে কয়েকটি আমড়া নিয়ে শিশুটিকে ঘর থেকে নিতে বলে। শিশুটি ঘরে ঢুকলে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওই শিক্ষক তাকে যৌন নির্যাতন করেন। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কোলে করে বাড়ির উঠানে রেখে আসে অভিযুক্ত শিক্ষক।

এ ঘটনা স্থানীয় সালিসে পাঁচ হাজার টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানা গেছে।

নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. উবায়দুর রহমান জানান, বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় রাতেই শিশুটির জবানবন্দি নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন