যশোরের মণিরামপুরে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ কথিত প্রেমিক রানাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। রানা উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের মালয়েশিয়ান প্রবাসী রেজাউল ইসলামের ছেলে। আর কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

 

এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খেদাপাড়া ক্যাম্পের আইসি এসআই খাইরুল আলম এজহার সূত্রে জানান, মেয়েটির মা ইটভাটা শ্রমিক। কয়েক বছর আগে তার (বাদির) স্বামী মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি মেয়েকে নিয়ে দীঘিরপাড়ে স্বামীর ভিটেয় থাকছেন। রানার বাড়ি ওই নারীর বাড়ির পাশে। কিশোরীর মা বাড়ি না থাকার সুযোগে রানা তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রানা একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১০ মে সন্ধ্যায় কিশোরীর মা বাড়ি না ধাকার সুযোগে রানা জোর করে ঘরে ঢুকে তাকে ফের ধর্ষণ করে।

এসআই খাইরুল বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় কিশোরীর মা মামলা করার পর রাতেই বাঁকড়া এলাকার মামার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ছেলের পিতা টাকাওয়ালা হওয়ায় তারা তাদের পক্ষ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশ বসায়। কিশোরীর মা হতদরিদ্র হওয়ায় সমাজপতিদের ভয়ে থানায় যেতে পারেননি। খবর পেয়ে খেদাপাড়া ক্যাম্পের আইসি খাইরুল আলমও দীঘিরপাড় গিয়ে কিশোরী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান। তবে আইনী সহায়তা নিতে তিনি কিশোরীকে থানায় পাঠাননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী মামুনুর রশিদ লাল্টু।

অভিযোগের ব্যাপারে এসআই খাইরুল বলেন, আমি ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তখনই স্যারকে বিস্তারিত জানিয়েছি।

মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে রানা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পূর্ব পশ্চিম

মন্তব্য করুন