রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দুই শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মোস্তাকিন বিল্লাহ (২৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ। ১৩ মার্চ শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই শিক্ষক গঙ্গাচড়া ইয়াহিয়া উল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বিড়াবাড়ি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মন্থনা বাজার এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মাসুদ রানা (১৩) ও নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের কৈমারী গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে শামিম (১৩)।
থানা পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর স্বজন জানান, ওই মাদ্রাসায় প্রায়ই বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়। গত শনিবার দুপুরে ব্যক্তিগত পানির জগ অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করার কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে শিক্ষক মোস্তাকিন বিল্লাহ।
মারপিটের একপর্যায়ে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি দেন শিক্ষার্থীদের। সুযোগ পেয়ে শনিবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীসহ ওই মাদ্রাসার আরও ৫-৭ জন শিক্ষার্থী গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এসে ওসির কাছে মৌখিক অভিযোগ জানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা থেকে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার নির্যাতনের শিকার মাসুদ রানার বাবা গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার জানান, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদ্বয়ের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশু আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।