শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্বামীর সহযোগিতায় দেবরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ২ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে পুলিশ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ (২৩) গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামীর বাড়ি নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের আখড়াপাড়া গ্রামে। পোশাক কারখানায় কাজ করার সূত্রে দেড় বছর আগে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর কিছুদিন পর তারা বিয়ে করেন এবং গাজিপুরের হারিকেন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত অক্টোবর মাসে ওই গৃহবধূকে রেখে বাড়িতে চলে যান স্বামী। তবে দু’জনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা হত। মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূকে ফোন করে বাড়িতে চলে আসতে বলেন তার স্বামী। না এলে তালাকের হুমকি দেন তিনি। সংসার বাঁচাতে ওই গৃহবধূ ছুটি নিয়ে রাতে নালিতাবাড়ীতে আসেন। পরে তাকে তার স্বামী বাঘবেড় গ্রামে ভগ্নিপতি বাড়িতে নিয়ে যান। রাতে প্রথমে নিজে ও পরে খালাত ভাইকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করান তিনি। এ সময় ওই গৃহবধূ আপত্তি করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ কান্নাকাটি করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিশ ডেকে বিষয়টি ধামাপাচা দেওয়ার চেষ্টা এবং মেয়েটিকে ঘরে আটকে রাখা হয়। এরপর স্থানীয় বিট পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি নালিতাবাড়ী থানায় জানায়। পরে পুলিশ এসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার স্বামী ও দেবর পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে আটক করেছে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম ও তার পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।