জাতীয় নির্বাচনোত্তরকালে সৃষ্ট হামলা বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে খুলনার ১৩ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, সাংকেতিক কর্মী, শিক্ষাবিদগণ এই বিবৃতিতে সৃষ্ট সন্ত্রাস দমনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের সীমাহীন ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন আবু মহম্মদ ফেরদাউস, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আব্দুল হালিম, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, অধ্যক্ষ ওয়াহিদুর রহমান, হায়দার গাজী, সালাহ উদ্দিন রুনু, মির্জা তসলিম হোসেন, শেখ আবু হাসান বকুল, শেখ আশরাফউজ্জামান, আশরাফ উল আলম টুটু, ডা. বাহারুল আলম, এস এম দাউদ আলী ও সৈয়দ মনোয়ার আলী। বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দৃঢ় করতে জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য। আর এ ক্ষেত্রে এক পক্ষ বিজয়ী ও অন্য পক্ষ পরাজিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় ও নির্বাচনে পরাজিত পক্ষের ওপর যে নির্মম, নৃশংস আক্রমণ ও সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিবিরোধী। বিবৃতিতে অবিলম্বে হামলা বন্ধ ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃকপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন সকল মানুষকে এই বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়।
দৈনিক জনকন্ঠ, ১২ অক্টোবর ২০০১