সুনামগঞ্জের ছাতকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসের জের ধরে মারামারি ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১০ মে) রাতে শহরের তাতিকোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
মারামারি ও হামলার ঘটনায় আহত হয়েছে ৮ জন। আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির, সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার, ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ মজনু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় ১১ মে সোমবার তাতিকোনা এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র দাসের পুত্র তাপস দাস বাদী হয়ে একই এলাকার সাহেদ আলী সরকারের পুত্র আরিফ আহমদকে প্রধান করে একই গ্রামের ২২ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-৯) দায়ের করেন।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন তিনি। বিষয়টি আইনিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে তাতিকোনা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা স্বরাজ কুমার দাস, শিক্ষক প্রণব দাস মিটু ও গ্রামের নূপুর দাস জানান, আরিফ আহমদ ও তাপস দাসের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরই মধ্যে তাপস দাস তার ফেসবুক আইডিতে ‘গরুর কাছে ঘাসের গল্প করতে হয়, ফুলের গল্প তার নিকট বেমানান’ এমন একটি স্ট্যাটাস গরুর ছবিসহ পোষ্ট করে। এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আরিফসহ ১৫-২০জন যুবক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা স্বরাজ দাস, শিক্ষক প্রণব দাস মিটু ও মোবাইল ম্যাকানিক পবলু দাসের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসব বসতঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
হামলায় আহত হয় তাপস দাস, পবলু দাস, পিলু দাস, রাতুল চৌধুরী, শিমুল দাস, শিপরু দাসসহ ৮ ব্যক্তি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।