সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারের এক দোকানির ১৩ বছরের শিশুকন্যাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় এক সিএনজি চালক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

 

৩১ জানুয়ারি রোববার রাত সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।

২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সে বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, শিশুটির বাড়ি জেলার বিশ্বনাথ উপজেলায়। একমাস আগে জীবিকার প্রয়োজনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তার বাবা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান খুলেছিলেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বেতগঞ্জ বাজারের তার দোকান ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে বাজারের পার্শ্ববর্তী রহমতপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে আজাদ মিয়া পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে একাধিক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সোমবার রাতে এক সিএনজি চালক শিশুটিকে আহত অবস্থায় কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

শিশুটির বাবা জানান, তুলে নিয়ে যাওয়ার পরই এলাকার গণ্যমান্যদের বিষয়টি জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন তারা। পরে হাসপাতালে এসে মেয়েকে পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানানোয় হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতেই সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে শিশুটির খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন