বরগুনার আমতলি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে একটি মাদ্রাসায় রবিউল (১২) নামের হেফজ শাখার এক শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও একজন শিক্ষক তাকে বেত্রাঘাতে গুরুত্বর জখম করে। এই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী রবিউলের বাবা দুলাল ফকির মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবুল চৌকিদার ও সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলমের বিরুদ্বে আমতলি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
রবিউলের বাবা দুলাল ফকির সাংবাদিকদের জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে জানতে পারেন, উত্তর তক্তাবুনিয়া ইউসুফিয়া রশিদিয়া হাফিজিয়া নূরানি মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত তার ছেলে রবিউলকে নির্যাতন করে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। রাতেই তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন নাঈম নামের এক সহপাঠীর সঙ্গে জুতা পাল্টে গিয়ে সামান্য বিরোধ হয়। নাঈম শিক্ষক মাহাবুবকে জানালে মাহবুব মাদ্রাসার সভাপতিকে ডেকে আনেন। দুজনে বিচার বসিয়ে রবিউলকে বাঁশের চিকন কঞ্চি দিয়ে প্রহার করলে, রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতেই রবিউলকে উদ্ধার করে আমতলি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
রবিউলের, পিঠ, ঘাড় ও উরুতে আঘাতে কালো চিহ্ন পড়ে গেছে বলে জানান তার বাবা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রবিউলকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রবিউলের মা জানান, রবিউল জ্বরে দুর্বল হয়ে কাতরাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।
আমতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, আমরা রবিউলের বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।