শহীদজায়া এবং নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের মা আয়েশা ফয়েজের বাড়ির সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৪৬ জন নাগরিক।
১৬ মার্চ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নাগরিকেরা এই উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, হরতালের প্রথম দিন ১৫ মার্চ সোমবার সকালে আয়েশা ফয়েজের বাড়ির সামনের ফটকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এই দেশের প্রতিক্রিয়াশীল ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আয়েশা ফয়েজ এবং তাঁর পরিবারের সবাই সব সময়ই সোচ্চার ছিলেন। তাই ওই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও পরিবারটির নিরাপত্তা দাবি করেছেন বিবৃতিদাতারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অর্থনীতিবিদ আনিসুর রহমান, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, উন্নয়নবিদ মনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, শিক্ষাবিদ শামসুজ্জামান, অনুপম সেন, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শাহদীন মালিক, শাহিন আনাম, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশিদ, আলী যাকের, ম. হামিদ, সেলিনা হোসেন, পান্না কায়সার, ইফতেখারুজ্জামান, আবুল মোমেন, খালেদা খান, লিয়াকত আলী, খুশী কবির, সুশান্ত কুমার দাস, মেঘনা গুহঠাকুরতা, গোলাম কুদ্দুস, হাসান আরিফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ শেখ বলেন, ‘কারও বাসা লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে আয়েশা ফয়েজের বাসার সামনের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হরতালকারীরা এই কাজ করেছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’