কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হরিণগাছি দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র উছামাকে (১০) মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছেন ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক  হাফেজ জমির উদ্দিন। অসুস্থতার কারণে মাদ্রাসায় না আসার অপরাধে এ নির্যাতন চালানো হয় বলে মাদ্রাসাছাত্রের স্বজনরা জানিয়েছেন। বর্তমানে ঐ ছাত্র দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, উপজেলার রিফাইতপুর ইউপির হরিণগাছি গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ও হরিণগাছি দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র উছামা বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর গত ১৬ মার্চ মাদ্রাসায় আসলে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ জমির উদ্দিন তাকে বেধড়ক পিটুনি দেন। এক পর্যায়ে উসামার বাম হাত ও ডান হাতের একটি আঙুল ভেঙ্গে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা সামান্য ঘটনা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। ঐ মাতব্বরদের ভয়ে নির্যাতনের বিষয়টি চেপে রাখে ঐ ছাত্রের পরিবার। কিন্তু ঐ ছাত্রের অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হওয়ায় তাকে মঙ্গলবার সকালে দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ঐ ছাত্র ও তার স্বজনরা স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তপন জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, এ ঘটনায় দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন