কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে হৃদয় (২২) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে দৌলতপুর থানা পুলিশ ৬ মে বুধবার ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

 

দৌলতপুর থানায় দায়ের করা ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর দাদির অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বাগানপাড়া এলাকার মেয়ে প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী (১২) শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাড়ির বাইরে বের হয়। এসময় একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে হৃদয় তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী তামাকপুড়ানো ঘরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় হৃদয়। মঙ্গলবার রাতে আবারও লম্পট হৃদয় ধর্ষিতাকে ডেকে একই ঘটনা ঘটাতে চাইলে ধর্ষিতা তার দাদিকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা-মা কর্ম সূত্রে ঢাকায় থাকার কারনে ধর্ষিতা তার দাদির কাছে থাকে। ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার দাদি বুধবার দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিলে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়ায় প্রেরণ করা হয়। তবে পুলিশ ধর্ষক হৃদয়কে গ্রেফতার করতে না পারলেও তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান জানিয়েছেন।

জনকণ্ঠ

মন্তব্য করুন