গৌরনদীর ছাত্রদল ক্যাডাররা ছিনাতাইকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। জোট নেতৃত্ববৃন্দের হস্তক্ষেপে পরে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। একই ক্যাডাররা গত বছর নির্বাচনের পর সংবাদপত্রবাহী গাড়ি আক্রমণ, ভাঙচুর ও লুট করেছিল। ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের গোপাল ফ্লাওয়ার মিলের প্রতিনিধি প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার গৌরনদী ও টরকীসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পাওনা বাবদ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা নগদ আদায় করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মাদারীপুর যাওয়ার জন্য কুষ্টিয়াগামী নাজ পরিবহনের বাসে ওঠেন। টেম্পোতে পশ্চাৎধাবনকারী রাজ্জাক, বাচ্চু ও দোসররা বার্থী ও ইল্লা বাসস্ট্যান্ডের মাঝখানে বাস থামাতে বাধ্য করে যাত্রী প্রশান্ত চক্রবর্তীকে নামিয়ে মারধর ও টাকা পয়সা ছিনতাই করে। এ সময় আক্রান্তের চিৎকারে জনতা এগিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দিয়ে গাইনেরপাড়গ্রামে আসমান ঘরামীর খড়ের গাদায় লুকানো অবস্থায় তাদের আটক করে। তখন ছাত্রদল ক্যাডার সবুজ খা এবং যুবদল নেতা কিসলু সরকার ছিনতাইকৃত অর্থ আদায় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছিনতাইকারীদের ছাড়িয়ে নেয় এবং অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা ও আত্মসাৎ করে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে ৪ দলীয় জোটভুক্ত জামাতে ইসলামীর উপজেলা আমীর মাওলানা জাকির হোসেনের প্রচেষ্টায় মাত্র ১৯ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয় গতকাল সকালে। এই ছাত্র ও যুবদল ক্যাডাররাই সাধারণ নির্বাচনের পর গত ৩১ অক্টোবর সংবাদপত্রবাহী গাড়িতে হামলা ও লুটপাট করলেও কোনো শাস্তি হয়নি। এবারেও মামলা হয়নি।
ভোরের কাগজ, ২০ জুন ২০০২