চাঁদপুরের কচুয়ায় একটি কওমী মাদ্রাসার হেফজখানার ১৩ বছরের ছাত্রকে ধর্ষণে অভিযোগে শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষক ওমর ফারুককে বহিষ্কার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসায় ওই ছাত্রকে শিক্ষক ওমর ফারুক ধর্ষণ করে। পরে ছেলেটি এসে লোকজনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মাগরিবের পর উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে আটক করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। তাৎক্ষণিক কচুয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারা জনতার রোষাণল থেকে তাকে বাঁচাতে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিরাপদ স্থানে রাখে। পরে জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং মাদ্রাসার জানালার গ্লাস ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী অংঙ্গসংঠনের নেতারা জনতাকে শান্ত করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওমর ফারুক আরও একাধিক বলাৎকারের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কচুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, ভিকটিম ছাত্র আমাদের জানিয়েছে তাকে ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে আমরা বিষয়টি জানার পর ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আজ তাকে কারাগারে পাঠানো হলো।