চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর বুধবার রাতে মোনাজাত আলী (৫৫) নামের ওই বৃদ্ধকে আটক করা হয়।

 

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় করা লিখিত অভিযোগে মেয়েটির মা দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী পেশাগত কারণে ঢাকায় থাকেন। তিনি মেয়েকে নিয়ে পাশের গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। গত সোমবার তিনি মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে এক কাছের স্বজন মোনাজাত আলী ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি বুধবার বিকেলে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বেগমপুর ক্যাম্পের পুলিশ বুধবার রাতেই মোনাজাত আলীকে আটক করে থানায় নেয়।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এদিকে চার বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ জীবননগর থানার পুলিশ মল্লিক মিস্ত্রী (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে। বুধবার দিবাগত রাতে তাঁকে জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, শিশুটির মায়ের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মল্লিক মিস্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, বুধবার সকালে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় মল্লিক চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে যান। যৌন হয়রানি করার সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। বিষয়টি আপসে মীমাংসা করার চেষ্টা চলে দিনভর। বিকেলে শিশুটির মা লিখিত অভিযোগ করলে জীবননগর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন