নাটোরের বড়াইগ্রামের দিঘলকান্দি গ্রামে স্বামী মারা যাওয়ার মাস না পেরোতেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (৪৫)। এদিকে নির্যাতিতা ওই নারীকে থানায় যেতে না দিয়ে ১৫ হাজার টাকায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে ওই নারীকে দেওয়া হয় মাত্র দুই হাজার টাকা।

 

ওই নারী ও এলাকাবাসী জানায়, ওই বিধবা নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এ সুযোগে দিঘলকান্দি গ্রামের রাজাউল্লার ছেলে মোখলেসুর রহমান তার আরো দুই সহযোগীকে নিয়ে ঘরে ঢোকে। পরে ওই নারী ঘরে ঢুকলে তাঁকে ধর্ষণ করে তারা।

এ সময় ওই নারীর চিত্কারে প্রতিবেশী এগিয়ে এসে মোখলেসকে আটক করলেও অন্য দুজন পালিয়ে যায়। পরে রাতেই ধর্ষিতার বাড়িতে বসে মোখলেসকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন গ্রামপ্রধানরা। এ সময় বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খান ওই নারীর হাতে মাত্র দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ঘটনার মীমাংসা করে দেন।

এমনকি তাঁকে চাপ প্রয়োগ করে সকালেই বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাঁরা। গতকাল রবিবার ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে দুই হাজার টাকা পাওয়া ও চাপ প্রয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত মোখলেসের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তফা বিষয়টি জানেন বলে স্বীকার করলেও টাকা-পয়সা লেনদেন ও থানায় না যেতে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন