নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে দেখা করার কথা বলে মোবাইল ফোনে মেসে ডেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে পুলিশ রায়হান (১৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে।

 

১৯ মার্চ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার আমেরিকান বাবুলের মেসে এই ঘটনা ঘটে।

আটক রায়হান বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে। তিনি নোয়াখালী ডিসি অফিস সংলগ্ন কোর্ট মসজিদ মার্কেটের ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারী। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

নিহত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর রায়হান ও তার বন্ধু সোলাইমান হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশ জানায়, মেয়েটির সঙ্গে রায়হানের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। ওই সর্ম্পকের জের ধরে রায়হান শুক্রবার সকালে মেয়েটিকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার আমেরিকান বাবুলের মেসে নিয়ে যায়। পরে এক পর্যায়ে রায়হান ও তার বন্ধুরা সেখান থেকে মেয়েটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রায়হানকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

তবে নিহতের বড় বোন দাবি করেছেন, তার বোনকে মেসে ডেকে নিয়ে রায়হান ও বন্ধুরা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করেছে। তিনি এ সময় তার বোনের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত জহির জানান, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

সুধারাম মডেল থানার ওসি সাদেহ উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীটি কীভাবে মারা গেল তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর বলা যাবে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রেমের সর্ম্পকের টানে ছাত্রীটি তার প্রেমিকের মেসে দেখা করতে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে বাক বিতণ্ডার জের ধরে মেয়েটি খুন হয়ে থাকতে পারে। তবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি-না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আটক রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন