বগুড়া শেরপুরের মির্জাপুর বাজার হেফজখানা মাদ্রাসার ছাত্র জাহিদ হাসান (১১) নামের এক ছাত্রকে লাথি দিয়ে মেঝেতে ফেলে পেটাল প্রধান শিক্ষক আল আমিন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯ টায় মির্জাপুর মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে ছাত্রের বাবা ওবাইদুল বিকেলে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ছাত্ররা পড়াশোনা শেষ করে মাঠের ভেতরে সহকর্মীদের সাথে খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলার সময় এক ছাত্রের কপাল ইটের খোয়া লেগে সামান্য জখম হয়ে যায়। এতে প্রধান শিক্ষক আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রকে ঘরের ভিতরে নিয়ে লাথি দিয়ে মেঝেতে ফেলে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে ওই ছাত্রের বাম হাত, পেটের ডান পাশে, কোমর, পা লাঠির আঘাতে জখম হয়ে যায়। ছাত্র জাহিদ হাসান আহত হলে বাড়িতে আসতে চাইলে শিক্ষক আল আমীন তাকে ঘরের ভিতরে বন্দী করে রাখে। পরবর্তীতে জুমার নামাজ পড়তে গেলে নামাজ পড়ে সে কৌশলে বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ছাত্র জাহিদ হাসান জানান, তাকে লাথি দিয়ে ঘরের ভেতর মেঝেতে ফেলে দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পরেও আমাকে মারতে থাকে। পরে ঘরের ভিতরে বন্দী করে রাখে এবং সকালের খাবার খেতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে শিক্ষক আল আমিন জানান, ছাত্রকে আমি শাসন করেছি এতে থানা পুলিশের কোন প্রশ্নই আসে না।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।