নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পর এবার জেলার সেনবাগে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে ভিডিওর অভিযোগ উঠেছে।

 

গত ৯ অক্টোবর উপজেলার ছাতারপাইয়া এলাকায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে সেনবাগ থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

২১ অক্টোবর বুধবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শুভ (১৮), রকি (১৭) ও হাছান (১৮) কে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, মামলার মূল আসামি পারভেজকে (২৫) গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার নথি থেকে জানা যায, গত ৯ অক্টোবর স্বামীর মাইক্রোবাসের মালিকের ছোট ভাই পারভেজ ১০-১২ জন সঙ্গী নিয়ে ওই নারীর বাড়িতে যান। পারভেজ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করেন এবং হুমকি দেন তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় মীমাংসার কথা বলে থানায় অভিযোগ করতে বাধা দেন অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় ছাতারপাইয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি এ ঘটনার বিচার করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারী ও তার ভগ্নীপতি আমার কাছে বিষয়টি জানালে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছিলাম।’

ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘পুলিশ মামলার প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে ওই ঘটনার পর থেকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সেনবাগ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. তারেকুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার মূল হোতা একজন। বাকিরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। তাদের তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দ্য ডেইলি স্টার

 

মন্তব্য করুন