বুধবার (১৭ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসা থেকে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী সদরের লেমুয়াতে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র যৌন নিপীড়নের অভিযোগের (বলৎকার) কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মাদরাসার শিক্ষক মো. হারুন (৩০)।
১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতে এই জবানবন্দি নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম
তিনি জানান, “হারুন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে । আদালতের নির্দেশে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে”।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ওই শিশুর পিতা মো. শাহ আলম বাদী হয়ে শিক্ষক মো. হারুনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাতে মাদ্রাসা থেকে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ওই শিক্ষককে আদালতে তোলা হয়”।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ভুক্তভোগী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের রহিমপুর আরবিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা এতিমখানার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মাদরাসার ভিতরে তাকে ঘুম থেকে ডেকে ঐ শিশুকে যৌন নিপীড়ন করে কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখান অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ হারুন ।
পরে ভুক্তভোগী ঐ শিশু শিক্ষক হারুনের নির্যাতনের তার বাবা-মাকে বলে। এর প্রেক্ষিতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।