ফেনীর সোনাগাজীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে (১৮) রাতভর ধর্ষণ করেছে জহিরুল ইসলাম জিয়া (২১) নামে এক বখাটে যুবক।

 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২৭ মে) উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আবু সুফিয়ানের বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার আসামি জিয়া ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে।

ধর্ষিতার পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বখাটে জহিরুল ইসলাম জিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ একই গ্রামের এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছে। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই তরুণী টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে জিয়ার নেতৃত্বে ৪-৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জিয়ার বসত ঘরের পাকা ভবনে তার শয়ন কক্ষে ওই তরুণীকে রাতভর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

২৭ মে বুধবার সকালে ওই তরুণীকে ওই কক্ষ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলে, সে ওই বখাটের বসত ঘরের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় বখাটের পিতা আবু সুফিয়ান ও তার ভাই জোরপূর্বক তাকে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বুধবার বিকালে ওই তরুণী বাদি হয়ে বখাটে জহিরুল ইসলাম জিয়ার নাম উল্লেখ করে ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং-২৪, তাং-২৭-০৫-২০২০খ্রি. ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত /০৩) এর ৯(১)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ২৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে লুঙ্গি, গামছা ও গেঞ্জি পরে কৃষক এবং জেলে সেজে দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের হাদা ব্যাপারি ঘোনায় অভিযান চালিয়ে বখাটে জিয়াকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরেই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম সফলতার সাথে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পরিবর্তন

মন্তব্য করুন