পটুয়াখালীর বাউফলে মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনে মো. আরাফাত হোসেন (৮) নামের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না নেওয়ায় বাউফল থানার ওসিকে শোকাজ করেছেন আদালত। একই সাথে মামলাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ওই আদেশ দেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নোমান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন তিন দিনের মধ্যে বাউফল থানায় মামলা না নেওয়ার কারণ জানাতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং আবেদনটি এজাহার হিসাবে রুজু করার নির্দেশ দেন।
মামলার দাবী ও নিহত শিশুর বাবা হাসান প্যাদা জানান,‘ আমার সন্তান আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর আল ইয়াসিন শিশু সদন এতিমখানা ও মারকাযুল নুর ইয়াসিন হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিকির উল্লাহ গত ২২আগস্ট পড়া না পারায় নির্যাতন করেন। এতে মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়। বিষয়টি আমাদের না জানিয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন আমাদের জানায়। খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। কিন্তু আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারিনি। গত ২৪আগস্ট রাতে আমার ছেলে মারা যায়।
এঘটনায় আমি গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বাউফল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে গত শনিবার (২৮ আগস্ট) পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের করি। আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) আদালত মামলা আমলে নিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে জিকিরউল্লাহ মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন,‘ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বার্তা বাজারে গত ৩১ আগস্ট ‘শিক্ষকের নির্যাতনে ছাত্রের মৃত্যু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।