গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা শহরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছাত্রদলের সশস্ত্র ক্যাডাররা এক ডাক্তারকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। অপহৃত ডাক্তার বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সদস্য। ঘটনার পরপরই সদর থানা পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপে অপহৃত ডাক্তারকে উদ্ধার ও জেলা ছাত্রদলের তিন শীর্ষ নেতা ও ডারকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১১। বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১১টায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একদল সশস্ত্র ক্যাডার শহরের শ্যাম কুটিরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. স্বপন কুমার ভৌমিক রায়ের চেম্বারে হানা দেয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ডা. স্বপনকে তার চেম্বার থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাকে অস্ত্রের মুখে শহরের ফুলবাড়িয়ায় আবদুল হামিদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ডা. স্বপনকে উদ্ধার করে এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীন, ক্যাডার জয়ন্ত চক্রবর্তী ও রাশেদ খান বাবুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে গ্রেফতারকৃত জয়ন্ত ও বাবুকে থানা হাজতে ঢোকানো হলেও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীনকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেই বসে থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় ডা. স্বপন বাদী হয়ে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
যুগান্তর, ৮ জুন ২০০২