রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের হাতে যৌন হয়রানির শিকার সেই নার্স এবার আদালতে মামলা করেছেন। সোমবার (২২মার্চ) রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় ডা. মামুন-অর-রহমানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। ডা. মামুন ছুটি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়ার ওপর ডিপ্লোমা করছেন। সেখান থেকেই কোর্স সম্পন্ন করতে এসেছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে এই নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর তার কোর্স বাতিল করা হয়।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ মাস আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছেন ভুক্তভোগী নার্স। গত ১৮ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর সেদিনই দায়িত্বরত চিকিৎসক মামুন-অর-রহমান তাকে যৌন হয়রানি করেন। পরদিন একই কাণ্ড ঘটান এই চিকিৎসক। ঘটনা জানাজানি হলে ২০ জানুয়ারি ডা. মামুনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটি ওই চিকিৎসককে ক্ষমা করে দেওয়ার সুপারিশ করে। প্রতিবেদনের একটি কপি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরে পাঠান হাসপাতাল পরিচালক। এদিকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরও আলাদা একটি কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত করছে। সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে গত ১৮ মার্চ অভিযোগকারী নার্সকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার আদেশে সাক্ষর করেন।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরদিনই বদলির আদেশ বাতিল করা হয়। এর তিন দিন পর ওই নার্স আদালতে মামলা করলেন।
তার আইনজীবী শারমীন কানিজ বলেন, “আদালত মামলার আবেদনটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন। এবং আগামী ২০ এপ্রিল আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।”
