ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হন লক্ষীপুর সদরের মান্দারী ইউনিয়নের মাদ্রাসা শিক্ষক মনির হোসেন। তবে এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের অভিযোগ মনিরের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
লক্ষীপুর সদরের মান্দারী ইউনিয়নের এই মাদ্রাসায় মাস দুয়েক আগে মেয়েকে ভর্তি করাতে নিয়ে যান এক নারী অভিভাবক। সেখান ধর্ষণের শিকার হয়েছেন- এমন অভিযোগে থানায় মামলা করেন তিনি। অভিযোগ আনেন মাদ্রাসা শিক্ষক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ মামলায় মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ভূক্তভোগীর দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী লক্ষিপুর থনায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। গভিযগ শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমরা আসামিকে গ্রেফতার করেছি।
তারপর থেকেই বাড়িছাড়া ভুক্তভোগী ওই নারী। আসামি মনির গ্রেফতার হলেও তার সহযোগীরা অপহরণ-হত্যাসহ নানা হুমকি দিচ্ছে ভিকটিমের পরিবারকে।
লক্ষীপুর সদরের মান্দারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহিম বলেন, ধর্ষকের সাথে কিছু খারাপ চক্র জড়িত আছে, এই চক্রটি মামলার বাদিকে মামলা তুলে নিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, তারা অত্র এলাকার আরও অন্যান্য অপকর্মের সাথেও জড়িত।
মনির হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবাদ করলেই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ বা মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়। এলাকবাসীর অভিযোগ, এই মামলার ভিকটিম ছাড়াও সম্প্রতি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক এতিম ছেলেকেও কিছুদিন আগে বলাৎকার করে মনির হোসেন। একজন এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, কদিন আগেও মনির হোসেনের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নিপীড়ক মনির তাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে।
এর আগে, ২০১৩ সালে মাদ্রাসার এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে ১৫ দিন জেল খেটেছিলো মনির। তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করা হলে সেবারও ভুক্তভোগীর পরিবার মনির ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের চাপের মুখে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
এলাকাবাসী যৌন নিপীড়ক মনির হোসেন ও তার সঙ্গীসাথীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।