অভিজিৎ রায়কে হত্যার মাধ্যমে বাংলার ব্লগার এবং অনলাইন কমিউনিটিতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করে ফেলে আনসারুল্লাহ বাঙলা টিম। অভিযোগ সেই একই ধর্মীয় অনুভূতি। ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাড়ে আটটা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের নিকটে অপরিচিত দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন অভিজিৎ রায় এবং তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ।

সাক্ষীদের মতে, দুইজন দুষ্কৃতিকারী তাঁদের থামিয়ে রিকশা থেকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের কোপাতে থাকেন। অভিজিতের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর স্ত্রীর কাঁধে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে এবং বাম হাতের আঙুলগুলি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। উভয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যাওয়া হলে অভিজিৎ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন। রাফিদা আহমেদ বন্যা চিকিৎসার পর বেঁচে যান। অভিজিৎ রায়কে অনেক আগ থেকেই উগ্রবাদীরা হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল তবে অভিজিৎ রায় এসব হুমকিতে কখনো ভয় পাননি। এদের হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে ২০১৫ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। এই আসাই তার কাল হয়ে দাঁড়ালো।

মন্তব্য করুন