বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটায় মন্দির ভাঙচুর ও এক তরুণকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ১২ জানুয়ারি রবিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাবে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। তাদের ভাষ্য, দুপুরে উপজেলার চরদুয়ানী এলাকায় প্রিয়াঙ্কা মিত্রের পরিবারিক মন্দির ভাঙচুর করা হয়। প্রিয়াঙ্কা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ওই পরিবারকে সহযোগিতার করায় তাইমুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এমপি রিমন বলেন, ‘ওই ছেলে যেহেতু এই এলাকার না তাই আমি তাকে পাথরঘাটা ছেড়ে যেতে বলেছি।’ এছাড়া আর
কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তাইমুল ইসলাম বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি একটি অসহায় হিন্দু পরিবারকে সহায়তা করেছি। দফায় দফায় মারধর করে এমপির সন্ত্রাসীরা। আমার দুটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে পাথরঘাটা থানায় রেখেছে। থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।’
প্রিয়াঙ্কা মিত্র বলেন, ‘এমপি তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের মন্দির ভাঙচুর করেছে। আমাকে সহযোগিতা করায় তাইমুল ইসলামকে মারধরও করে তারা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।’
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানি না। মোটরসাইকেল আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু লোক তাইমুলের কাছে টাকা পায় তারা মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। এমপির নির্দেশেই তার মোটরসাইকেল থানায় রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।