রাজধানীর পল্টন ও ভাটারা এবং শেরপুর জেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক নারীসহ চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে র্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৩ জানুয়ারি র্যাব-৪ আনসার আল ইসলামের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সারা দিন র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর পল্টন ও ভাটারা থানাসহ শেরপুর জেলায় অভিযান চালায়। এই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠনটির এক নারীসহ চার জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো— মো. আব্দুল ওহাব ওরফে সিরাতুল মুস্তাকিম ওরফে হামজা বিন মুতালিব (৩০),মো. বেলাল হোসাইন ওরফে খোরশানের মুজাহিদ ওরফে খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী (২২), মো. নাজমুল (১৭) ও ঝুমুর খাতুন ওরফে রোকাইয়া ওরফে হাজ্জাজ বিন মুতালিব (১৮)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদী বই,২১টি লিফলেট, ১৬৭টি জঙ্গিবাদী কথোপকথনের প্রমাণাদি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মো. আব্দুল ওহাব ওরফে সিরাতুল মুস্তাকিম ওরফে হামজা বিন মুতালিব (৩০)জানায়, সে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশে যায়। পরবর্তীতে দেশে ফিরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিল। এছাড়া আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সে এই সংগঠনের অপর সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করে আসছিল।
বেলাল হোসাইন ওরফে খোরশানের মুজাহিদ ওরফে খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী (২২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পল্টনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং সে বেশকিছু দিন যাবৎ ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সঙ্গে জড়িত থেকে তাদের নিজস্ব ইলেকট্রনিক গ্রুপে ও অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও এবং লিফলেট প্রচার করে আসছিল।
গ্রেফতার ঝুমুর খাতুন একজন ছাত্রী এবং সে আনসার আল ইসলামের কাজে জড়িত থেকে অন্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এছাড়া সে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ৫ মাস আগে আব্দুল ওহাবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
র্যাব-৪ জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।