ভগ্নীপতির বাসায় বেড়াতে গিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে ফুঁসলিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ চার সন্তানের জনক ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে আমতলী পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আমতলী পৌর শহরে ভগ্নীপতির বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার বিকালে ওই ছাত্রী পৌরসভার ওয়াপদা অফিস সংলগ্ন ব্লকে ঘুরতে যান। ওই সময় বাসুগী গ্রামের নুরুল হক হাওলাদারের ছেলে চার সন্তানের জনক লম্পট জাকির হোসেন হাওলাদার ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে পটুয়াখালী শহরে নিয়ে যায়।
ওই শহরের একটি আবাসিক হোটেলে রেখে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই ছাত্রীকে ওইদিন রাতে ধর্ষক জাকির হোসেন স্কুল ছাত্রীকে ভগ্নীপতির বাসার সামনে রেখে চলে যায়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী সব ঘটনা বোনের কাছে খুলে বলে। পরে ভগ্নীপতি ওই রাতেই ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
আমতলী থানার এসআই নাসরিন সুলতানার নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাতে ধর্ষক জাকিরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিন পুলিশ ধর্ষক জাকির হোসেন এবং ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।
আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন ধর্ষক জাকিরকে জেল হাজতে প্রেরণ এবং স্কুলছাত্রীর জবাববন্দি শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ওইদিনই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্কুল ছাত্রীর ভগ্নীপতি বলেন, জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে আমার শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এসআই নাসরিন সুলতানা বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আসামি জাকিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।